চাকরির পাশাপাশি, আপনি এই 5 টি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, লক্ষ লক্ষ উপার্জন করবেন

Small Business Ideas Bangla
Spread the love

বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে করোনা জন্য যে কত রকম মানুষেরা প্রবলেম ফেস করছে এবং এই কোভিদ নাইনটিন এর জন্য মানুষের জীবনের একটা আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেছে । তার সঙ্গে সঙ্গে যতরকম বিজনেস ছিল সেগুলো কিন্তু মানুষেরা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

অনেক বিজনেস এরকম আছে যেগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বিজনেস চালাতে অনেক টাকা পয়সার দরকার হয় কিন্তু একচুয়ালি পুরো এক বছর ধরে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল তখন কোনরকমে মানুষ ইনকাম করতে পারিনি তো অনেক বিজনেস বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেক মানুষ চাকরির জন্য চেষ্টা করছে যারা একচুয়ালি প্রথমে বিজনেস করতে চাইছিলো। 

যে কোন রকম ভাবে যদি আমরা একটা চাকরি পেয়ে যদি সংসারটা চালাতে পারি। তো এই সময়ে আমি আপনাদের সঙ্গে এরকম কিছু বিজনেস আইডিয়াস আপনার সঙ্গে শেয়ার করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার চাকরি করার সাথে সাথে ছোটখাটো বিজনেস করে আপনি এক্সট্রা ইনকাম করতে পারবেন এবং তারপরে যদি মনে হয় যে আপনার বিজনেসের লাভ হচ্ছে তাহলে আপনি চাকরি ছেড়ে এসে বিজনেস এর প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এই বিজনেস গুলো এতটাই ভাল হতে চলেছে যদি কোনো কারণে যদি ফিউচারে এরকম কোন প্রবলেম হয় যার জন্য সব কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আমাদের যেকোন সময়ে চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে, তাহলে কিন্তু এরকম একটা বিজনেস থাকা খুব দরকার যেটা আমাদের ফাইনান্সিয়াল প্রবলেমটা কে সলভ করতে পারে।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া

যদি লোকেরা তাদের চাকরি হারানোর ভয় পায়, তাহলে তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যবসার সুযোগগুলি নিম্নরূপ:

স্টাইলিশ পাদুকা ব্যবসা (Stylish Footwear Business)

তো প্রথম আমরা যে বিজনেসটা নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে স্টাইলিস্ট ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এখন আস্তে আস্তে কত এগোচ্ছে। বিশেষ করে যে এখন টিনএজাররা আছে তারা সব কিছুতেই ফ্যাশন খুঁজে। এই সময়ে যদি আপনি স্টাইলিশ ফ্যাশনেবল ফুটওয়ার তৈরি করার বিজনেস চালু করতে পারেন তাহলে কিন্তু আসছে দিনে এটা কিন্তু আস্তে আস্তে আপনাকে প্রচুর ফায়দা দেবে।

এরকম টাইপের স্টাইলিশ জুতো তৈরি করার জন্য আপনাকে কিন্তু সবথেকে বেশি যেটা দরকার সেটা হচ্ছে আপনার ক্রিয়েটিভ মাইন্ডসেট। আপনাকে একটা ক্রিয়েটিভ মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে। লক্ষ্য করতে হবে যে রকম টাইপের ফ্যাশন একচুয়ালি মানুষেরা চাইছে, সে রকম টাইপের ফ্যাশনেবল জিনিস আপনাদের তৈরি করতে হবে এবং আপনার আশেপাশে আরও কয়েকজন ফ্যাশনেবল লোক জোগাড় করতে হবে যারা আপনাকে এই বিষয়ে আইডিয়া দিতে পারে। তো সে রকম টাইপের যদি আপনার কাছে ক্রিয়েটিভ মানুষেরা আছে এবং আপনি যদি ভাবতে পারেন যে ফিউচারে কোন জিনিস চলবে, তাহলে এইটা থেকে কিন্তু আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এবার যেকোন রকম বিজনেস তৈরি করার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি টেনসনের ব্যাপার হচ্ছে যে বিজনেস তৈরি করতে হলে আপনাকে কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আমি আপনাকে বলছি যে চাকরির সাথে সাথে আপনি কি করে বিজনেসটা করতে পারেন তো আপনি ছোট ভাবে চালু করুন। মোটামুটি এক দেড় লাখ টাকা ইনভেস্ট করে আপনি চাইলে চালু করতে পারেন তার পরে যদি দেখেন যে ইনকাম ভালো হচ্ছে তারপরে আপনি এটাতে আরো ইনভেস্ট করতে পারেন এবং যত বেশি ইনভেস্ট করবেন, যত ক্রিয়েটিভ মাইন্ডসেট আপনি লাগাতে পারবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। 

এবার আপনার কাছে যদি সেরকম কোন টাকা পয়সা যদি না থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের গর্মেন্ট সরকার এরকম অনেক রকমের প্রকল্প নিয়ে এসেছে ছোট বিজনেস ম্যান এর জন্য যারা সেখান থেকে লোন নিয়ে নিজের বিজনেস চালু করতে পারেন আপনি যদি এই বিজনেস থেকে ভাল করে চালাতে পারেন তাহলে বছরে অন্তত দশ লাখ টাকা আপনার ইনকাম হবেই হবে। 

আমুল ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা (Amul Franchise Business)

এরপরে আমরা যে বিজনেসটা নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজির বিজনেস। আমি পার্টিকুলার আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিজনেসের কথা কেন বলছি এর  পিছনে কিন্তু একটা অনেক বড় কারণ আছে কারণ কোরোনা সময় আমরা দেখেছি ম্যাক্সিমাম বিজনেস কিন্তু ডাউন হয়ে গেছিল, সবাই নিজের দোকান বন্ধ করে দিচ্ছিল, অনেক কোম্পানি নিজের প্লান্ট শাটডাউন পর্যন্ত রেখেছিল। কিন্তু আমূল একটা একমাত্র ভারতের কোম্পানি যে এই কোরোনা সময় তাদের কোম্পানি পুরো বছর খোলা ছিল এবং কন্টিনিউয়াসলি অনেক বেশি প্রোডাকশন করেছিল।

এই বছরেই তারা নিজের আরো অনেক রকমের নতুন নতুন প্রোডাক্ট কিন্তু মার্কেটে লঞ্চ করেছিল। আমি আপনাদেরকে একটা ভিডিও দিচ্ছি এই ভিডিওটা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আমুল করোনা সময় কি করে নিজের বিজনেস করেছে।

এর থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি আপনি নিতে পারেন তাহলে আপনি কত বেশি ফায়দা করতে পারেন কারণ আমুল কোম্পানির যে বিজনেসটা স্ট্রাটেজি সেটা কিন্তু খুব ভালো। এবং আমুল কম্পানি কিন্তু দেশের প্রত্যেকটা জায়গায় নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলার জন্য আবেদন সব সময় একসেপ্ট করে। 

তো আপনার কাছে যদি একটা ভালো জায়গা থাকে, ইনভেস্ট করার জন্য যদি মোটামুটি কিছু টাকা পয়সা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি চাইলে আমূল ফ্রাঞ্চাইজির বিজনেস করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এবং আপনার যদি বিজনেস ভালো রকম ভাবে চলে তাহলে কিন্তু আপনি বছরে অন্তত 10 লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি খুললে আপনার বিজনেস এর সাকসেসফুল হওয়ার প্রবণতা অনেক অনেক বেশি হবে কারণ আমূল হচ্ছে ভারতের একটা স্বনামধন্য ব্র্যান্ড এবং আমূল এর জিনিসপত্র আমরা সবাই ব্যবহার করি এজন্য কিন্তু আমূল এর জিনিস কেনার জন্য কিন্তু লোকেরা কেউ দাম কষাকষি করে না এবং আমূল এর জিনিস কেনার জন্য লোকেরা সব সময় একপায়ে খাড়া থাকে। তো আপনি যদি আমূল ফ্র্যাঞ্চাইজি বিজনেস শুরু করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ফিউচারে অনেক বেশি লাভ হতে পারে।

জিরার চাষ (Jeera Farming)

বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে গ্রাম থেকে অনেক মানুষ শহরে যায় চাকরি করতে এবং কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য। কিন্তু করোনা সময় এরকম হয়েছে যে, সব কোম্পানি, সব দোকান পত্র যখন বন্ধ হয়ে গেছে তখন সেই সব মানুষকে আবার গ্রামে ফিরে আসতে হয়েছে এবং তারা ভাবছে যে তারা তাদের চাষবাস আবার শুরু করবে। কারন গ্রামের সবাই কিন্তু আসলে চাষবাস করেই নিজের সংসার চালাতে ভালোবাসে কিন্তু এই সময়ে দাঁড়িয়ে এরকম কি জিনিস আছে যেটার চাষ করলে আপনার লাভ বেশি হতে পারে?

তো আমরা এখন আপনাকে এরকম একটা জিনিস সম্বন্ধে বলছি যেটা চাষ করলে আপনি অনেক বেশি ফায়দা করতে পারেন সেটা হল জিরার চাষ। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে জিরা কিন্তু আমরা একচুয়ালি রান্নাতে ব্যবহার করে থাকি। এটা আমরা একটা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু করোনা সময় গর্মেন্ট আমাদেরকে বলেছে যে জিরা আমাদের শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য কত বেশি উপকারী।

তো এটা শোনার পর যেসব মানুষেরা বাড়িতে জিরা ব্যবহার করতো না তারাও কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের রান্না-বান্না তে জিরার ব্যবহার কিন্তু বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমরা সবাই জানি যে জিরা সাধারণত ভারতে একটু কম পরিমাণে চাষ করা হয়। তো আপনারা যদি জিরা চাষ করেন তাহলে কিন্তু আপনারা খুব ভালো পরিমাণে ফায়দা করতে পারেন।

মুক্তা চাষ (Pearl Cultivation)

বন্ধুরা এবার আমি আপনাদের সঙ্গে যেই বিজনেস আইডিয়া টা শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা শুনে হয়তো আপনি একটু চমকে যেতে পারেন। কারণ এটা একটা ইউনিক টাইপের বিজনেস আইডিয়া এবং এটা এখন বর্তমানে কিন্তু অনেক বেশি আস্তে আস্তে প্রচলিত হচ্ছে। সেটা হচ্ছে মুক্তা চাষের বিজনেস আইডিয়া। হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনারা চাইলে মুক্তা চাষ করে কিন্তু প্রত্যেক বছর 5 থেকে 10 লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। আজকালকার দিনে মুক্তা কিন্তু অনেক বেশি মানুষ চাইছে কিনতে কারণ মেয়েদের বিভিন্ন রকমের যে হার তৈরি হয় সেটার জন্য কিন্তু মুক্তা লাগে আবার অনেক মানুষ কিন্তু মুক্তার আংটি ও ধারণ করে, তাদের ভবিষ্যৎ কে ভালো করার জন্য। যারা রাগী মানুষ তাদেরকে মুক্ত দেওয়া হয় এবং মুক্তার তৈরি বিভিন্ন রকমের অলংকার কিন্তু মুক্তা দিয়ে তৈরি হয়। মুক্তা কিন্তু আগেও যেমন খুব বেশি পরিমাণে বিক্রি হতো, আজকের দিনে কিন্তু দিনের পর দিন যেহেতু ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বাড়ছে, সেই জন্য কিন্তু মুক্তার ব্যবহারও বাড়ছে। 

তো আপনি যদি চান তাহলে কিন্তু মুক্তার বিজনেস করে কিন্তু ভালো রকম ফায়দা করতে পারেন। আমি একটা ভিডিও আপনাকে দিচ্ছি এই ভিডিও দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে কি করে মুক্তা চাষ করতে হয় এবং এই মুক্তা চাষ করে আপনি কি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মেটাল জিনিসের ব্যবসা (Metal Items Business)

বন্ধুরা এবার আপনার জন্য আমি যেই বিজনেস আইডিয়া টা নিয়ে এসেছি সেটাও কিন্তু একটা ভীষণ ইউনিক টাইপের বিজনেস আইডিয়া। এবং এটা কিন্তু শুধুমাত্র যে এখন নতুন নতুন চালু হয়েছে এরকম না এটা কিন্তু বহু বছর ধরে চলে আসছে এবং যারা এই বিজনেস করছে তারা কিন্তু এর থেকে ভালো রকম ফায়দা করছে। কিন্তু যেহেতু অনেক মানুষ এটা সম্বন্ধে জানে না এজন্য কিন্তু অনেক মানুষ এটা কিন্তু করতে চায় না। তো আমরা আজকে আপনাদেরকে বলবো যে মেটালের জিনিসের ব্যবসা কি করে করবেন। 

একচুয়ালি মেটাল বলতে আমরা এখানে বোঝাতে চাইছি যে কোনো রকমের ধাতু – যেরকম যেকোনও রকমের ধাতু দিয়ে বিভিন্ন রকমের ছোটখাটো জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।  আপনি চাইলে আপনার ঘরে ছোট্ট একটা জায়গায় মেটালের জিনিস কি করে বানানো হয় সেটার একটা দোকান খুলতে পারেন এবং সেখানে বিভিন্ন রকমের ধাতু দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস কিন্তু তৈরি করতে পারেন। 

যেমন রান্নাবান্না করার জন্য লোহা দিয়ে ক্ষুন্তি, করে, সাঁড়াশি এগুলো তৈরি করা হয়।  তার পরে বিভিন্ন রকমের মেটাল দিয়ে কিন্তু ছোটখাটো গয়না তৈরি করা হয়ে থাকে, ডিজাইনের জিনিস তৈরি করা হয়ে থাকে বা চাষ বাস করার জন্য কিন্তু লোহা দিয়ে অনেক রকমের জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।  ছোট ছোট অনেক রকমের অনেক কিছু সরঞ্জাম তৈরি করা হয় যেটা অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে সেরকম কিন্তু জিনিস আপনি চাইলে কিন্তু তৈরি করতে পারেন এবং সেটা আপনি আপনার দোকান থেকে ডাইরেক্টলি বিক্রি করতে পারেন। এই বিজনেসটা করতে কিন্তু অনেক বেশি টাকা লাগে না এবং আপনি যদি এই বিজনেসটা স্টার্ট করতে পারবেন, তাহলে কিন্তু ভালো রকম টাকা আয় করতে পারেন। 

আপনি নিজেই এই সমস্ত ব্যবসা শুরু করতে পারেন, এই সমস্ত ব্যবসা করতে আপনার যে মূলধন প্রয়োজন, সরকার তাতে সহায়তা করছে। সুতরাং যদি আপনি ভয় পান যে আপনার চাকরি আপনার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে, তাহলে চিন্তা না করে আপনি চাকরি ছেড়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ উপার্জন করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *